Wednesday, May 23, 2012

হরলিক্স নাকি বিষ ! ! !


বড় তো হচ্ছি , আক্কল হবে কবে ??? !!!

হরলিক্সের নামে বাচ্চাদের আমরা কি খাওয়াচ্ছি?? সবার মাঝে ছড়িয়ে দিন এই আওয়াজ....

সকাল বেলা উঠেই পেপার পড়ার অভ্যেস আর তার সাথে চা না হলে তো পেপার পড়া জমেই না পেপার উল্টোতেই আমার চোখ কপাল উপরে উঠল, কাশতে কাশতে চা আমার সারা শরীরে পড়ে গেল মা আমাকে নোটিশ করে বলল
ভূত দেখেছ নাকি পেপারে
আমি বললাম, “মা এটা তো ভূতের বাপ, ইহা সবাই দেখে, এই ভূত এখন মানুষ হয়ে গেছে, কেউ বোঝে, কেউ বোঝে না, আবার কেউ বুঝে এই ভূতকে মানুষের মত মানুষ বানানোর চেষ্টা করে

যা হোক এবার মূল প্রসঙ্গে আসা যাক,
একটি বহুল প্রচলিত দৈনিক পত্রিকার এক পৃষ্ঠা জুড়ে একটি অ্যাড

গ্লাস হরলিক্স = ৬৬৬ গ্রাম ইলিশ মাছের সমান আয়রন
বেড়ে ওঠার ডোজ
রোজ রোজ
হরলিক্স তো রেগুলার খাবার কেন আপনি দিচ্ছেন না

হতভম্ব হয়ে কিছুক্ষন চিন্তা করলাম, আচ্ছা ধরনের অ্যাড কি হরলিক্স আবিস্কারের দেশ ব্রিটেনে দেওয়া হয়যা হওক এই বিষয়ে আলোচনা একটু পরে করবআগে মূল বিষয়টা যানা প্রয়োজন

আপনি যদি রেগলার প্রিন্ট মিডিয়া অথবা ইলেক্ট্রিক মিডিয়ার অ্যাডগুলো দেখে থাকেন তাহলে দেখবেন আপনি যাই খাবেন অথবা মাখবেন তার মধ্যেই ভিটামিন অথবা মিনারেল রয়েছে অথবা দুটো এক সঙ্গেই আছে অ্যাডগুলো দেখে আপনার মনে হতে পারে ভিটামিন এবং মিনারেল খুবি দুর্লভ বস্তু এবং আপনাকে ভিটামিন এবং মিনারেল বিশাল পরিমানে ফুড সাপ্লিমেন্ট (খাবারের সম্পূরক)আকারে নিতে হবে
চলুন ভিটামিন এবং মিনারেল সম্পর্কে কিছুটা জানা যাক

ভিটামিন
ভিটামিন হচ্ছে জৈবিক পদার্থ যা মানুষের জন্য খুব কম পরিমানে প্রয়োজন হয় শরীরের নির্দিষ্ট কিছু কোষীর কাজ সম্পাদনের জন্য মানুষের দেহ ভিটামিন তৈরী করতে পারে না, সুসাস্থের জন্য ভিটামিনগুলোকে আমাদের প্রতিদিনের খাবারের সাথে নিতে হয়

মিনারেল
মিনারেল হচ্ছে অজৈবিক যা মানুষের দেহের গঠনমূলক পদার্থ, এটি এনজাইম এর বিশ্লেষনে সহকারি হিসেবে কাজ করে, স্নায়ুর সঞ্ছালনে সাহায্য করে, অম্ল এবং ক্ষারকের সাম্যবস্থা রক্ষা করে মানুষের দেহ মিনারেল তৈরী করতে পারে না, প্রত্যেকটি মিনারেল প্রতিদিন খাবারের সাথে একটি নির্দিষ্ট পরিমানে নিতে হয়

FDA(Food & Drug Administration-America) নির্দেশনা
“There are many good reasons to consider taking vitamin supplements, such as over-the-counter multivitamins. According to the American Academy of Family Physicians (AAFP), a doctor may recommend that you take them:

• for certain health problems
• if you eat a vegetarian or vegan diet
• if you are pregnant or breastfeeding

supplements may be useful when they fill a specific identified nutrient gap that cannot or is not otherwise being met by individual’s intake of food.”

অর্থাৎ, ভিটামিগুলো সাপ্লিমেন্ট আকারে উপরে উল্লেখিত কন্ডিশনে উপকারি হতে পারে কিন্তু এর উপকারিতা প্রমানিত নয় আর নরমাল কন্ডিশনে তো নেয়ার প্রশ্নই আসে না

আরো ভয়ংকর তথ্য আছেঃ
“As is the case with all dietary supplements, the decision to use supplemental vitamins should not be taken lightly, says Vasilios Frankos, Ph.D., Director of FDA’s Division of Dietary Supplement Programs”.

যদি ভিটামিগুলো প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেওয়া তাহলে এটা প্রমানিত যে আপনার নিম্ন বর্নিত সমস্যাগুলো হতে পারেঃ

Fat-soluble Vitamins
• A (retinol, retinal, retinoic acid): Nausea, vomiting, headache, dizziness, blurred vision, clumsiness, birth defects, liver problems, possible risk of osteoporosis. You may be at greater risk of these effects if you drink high amounts of alcohol or you have liver problems, high cholesterol levels or don’t get enough protein.
• D (calciferol): Nausea, vomiting, poor appetite, constipation, weakness, weight loss, confusion, heart rhythm problems, deposits of calcium and phosphate in soft tissues. If you take blood thinners, talk to your doctor before taking vitamin E or vitamin K pills.

Water-soluble Vitamins
• B-3 (niacin): flushing, redness of the skin, upset stomach.
• B-6 (pyridoxine, pyridoxal, and pyridoxamine): Nerve damage to the limbs, which may cause numbness, trouble walking, and pain.
• C (ascorbic acid): Upset stomach, kidney stones, increased iron absorption.
• Folic Acid (folate): High levels may, especially in older adults, hide signs of B-12 deficiency, a condition that can cause nerve damage.[1]

আপনার যকৃৎ নষ্ট হয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে, প্যারালাইজড, হার্ট এর সমস্যা হতে পারে

হরলিক্স কি?
বাংলাদেশে যে হরলিক্সটি পাওয়া যায় সেটি হচ্ছে ফুড ফরটিফাইড পাওডার দুধ, গম এবং বার্লির সংমিশ্রনে তৈরী হরলিক্সে বাহির থেকে ভিটামিন এবং মিনারেল অ্যাড করা হয়েছে ফুড সাপ্লিমেন্ট হিসেবে হরলিক্স প্রস্তুকারি কোম্পানি হচ্ছে GlaxoSmithKline(GSK)[2]

গ্লাস হরলিক্স = ৬৬৬ গ্রাম ইলিশ মাছের সমান আয়রন"
বেড়ে ওঠার ডোজ
রোজ রোজ
হরলিক্স তো রেগুলার খাবার

যেই ভিটামিন এবং মিনারেলগুলো উপকারি কিনা নিশ্চত নয় বরং অতিরিক্ত নেওয়ার কারনে সমস্যা হতে পারে সেগুলো আজ মানুষের সামনে অত্যন্ত আকর্ষনীয় কায়দায় ভুল তথ্য দিয়ে মানুষের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে
বেড়ে ওঠার ডোজ
রোজ রোজ
কতটুকু ভয়ংকর এই অ্যাডটি ফুড সাপ্লিমেন্টগুলো যেখানে কার্যকারিতা প্রশ্নবিদ্ধ সেখানে এগুলোকে রেগুলার খাবার আর ডোজ(কার্যকরি পরিমান) হিসেবে পরিচিত করানো হচ্ছে

হরলিক্স আবিস্কারের দেশ ব্রিটেনের অ্যাডগুলো দেখলামঃ
“Horlicks doesn't just taste great; one mug contains 12 essential vitamins and minerals and is a rich source of Vitamin D - an essential aid to calcium absorption”.

“Horlicks contains a wide range of vitamins and minerals. Dr Frankie Phillips - an independent Nutrition Consultant and Registered Dietician - gives you the good news about how these vitamins and minerals are essential for wellbeing.

We all need a variety of essential vitamins and minerals to carry out important roles to keep us well”. [3]

অ্যাডগুলোতে কোথাও লেখা নেই
বেড়ে ওঠার ডোজ
“Stronger, Taller, Sharper”
গ্লাস হরলিক্স = ৬৬৬ গ্রাম ইলিশ মাছের সমান আয়রন
এই অ্যাডগুলো তারা সাবকন্টিনেন্ট ছাড়া অন্য কোথাও দেয় না কারন তারা সেই দেশে নিষিদ্ধ হয়ে যাবে

আরো চমকপ্রদ তথ্য আছে
২০০৪ সালে ডেনমার্কে হরলিক্স নিষিদ্ধ করা হয় অতিরিক্ত ভিটামিন এবং মিনারেল ব্যবহারের কারনে[4]

UK-তে “Stronger, Taller, Sharper”এই অ্যাডটি নিষিদ্ধ করা হয় ২০০৮ সালে তাও বাংলাদেশী টেলিভিশন এনটিভি এটি প্রচার করেছিল
আরো মজার বিষয় হল ইউকের হরলিক্সটি ফুড ফরটিফাইড নয় মানে এতে অতিরিক্ত কোন ভিটামিন অথবা মিনারেল অ্যাড করা হয়নি[5]

Stronger, Taller, Sharper এখন প্রমানিত?
এটা প্রমানিত যে হরলিক্স বাচ্চাদের আরো Stronger, Taller, Sharper করে

প্রথমে নিজকে প্রশ্ন করলাম এই research ইন্ডিয়াতে কেন হোল, ইউকেতে কেন হল না
ইন্ডিয়া হচ্ছে সেই দেশ যারা সমগ্র পৃথিবীর ৭৫ ভাগ ভেজাল ঔষধ পৃথিবীতে রপ্তানি করে যাদের ফুড এবং ড্রাগ পলিসি সবচেয়ে দুর্বল
এটা এমনি একটি research যা GlaxoSmithKline ইন্ডিয়া আর বাংলাদেশে ব্যবহার করে তাদের ইউকের ওয়েবসাইটে রকম কোন তথ্য নাই

দুই দেশ দুই নীতি?
Pharmacy-তে একটি টার্ম কমন ব্যবহার করা হয় Slow poisoning এটা অনেকটা Arsenicosis এর মত মানে আপনি পানির সাথে বিষ খাচ্ছেন কিন্তু তৎক্ষনাত বুঝবেন না বুঝবেন -১০ বৎসর পরে নাহ আমি খাবারের বিষের কথা বলছি না এটি হচ্ছে চিন্তার পচনমানুষকে চিন্তা খাওয়াতে পারলে সে সব খায়

আমার এখনও মনে আছে আমাদের বাপ-দাদাদের সময় সফট ড্রিংসগুলো অতিথি আপ্যায়ন এর মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল কিন্তু আমাদের জেনারেশন সেইটাকে রেগুলার পানীয় হিসেবে গ্রহন করল তারা মদকে ধরল সেলিব্রশনের একটি উপায় হিসাবেআমাদের পরবর্তি জেনারেশন হয়তবা used to হয়ে যাবে
বিউটি প্রডাক্ট ফেয়ার এন্ড লাভলীকে দেখে এক সময় আমরা গালি দিতাম কিন্তু সেই ফেয়ার এন্ড লাভলী এখনফেয়ার এন্ড লাভলী এন্ড ফেয়ার লাভলিহয়ে গেছে এবং বাজারে এখন বিউটি প্রডাক্ট ছাড়া আসলে অন্য প্রডাক্ট পাওয়া খুবি ভার
হরলিক্স এক গ্লাস থেকে দুই গ্লাস হয়ে গেছে
পারফিউম আর ডিওড্রেন্ট এর অ্যাড দেখলে তো গলায় ফাসি দিতে ইচ্ছে করে

একটা সময় পৃথিবাকে ব্রিটিশরা colonization মাধ্যমে চালাত সেই colonization হয়তবা শেষ হয়ে গেছে কিন্তু আমাদের চিন্তাকে যে colonized করে ফেলছে সেটা কী আমরা বুঝি?

Reference
1. http://www.fda.gov/consumer/update/vitamins111907.html
2. http://www.gsk.com.bd/products/
3. http://www.horlicks.co.uk/health/
4. http://www.guardian.co.uk/world/2011/may/24/denmark-bans-marmite
5. http://news.bbc.co.uk/2/hi/uk_news/7683259.stm

লেখা: মেহেদী মুর্তজা
বি. ফার্ম. ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভারসিটি

......সংগৃহীত.........

Wednesday, April 11, 2012

২০১২ এবং ইসলাম তথা ১৪৩৩ আরো কিছু অজানা তথ্য (অংশ ১)


ইসলাম যেখানে একঈশ্বর এবং সর্বশ্রেষ্ঠ মানব মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর সত্যতাতে বিশ্বাস করতে হয় সেখানে বস্তুবাদ কিংবা ত্রিতত্ত্ববাদ (Trinity) কিংবা বহুঈশ্বরবাদ এর কোনো স্থান নেই | নিশ্চয়ই আল্লাহ মহান |

আমি এখানে আগে মায়ান এবং বর্তমান সম্পর্কে কিছু বলব. তা না হলে ২০১২ নিয়ে স্পষ্ট ধারনা পাওয়া যাবে না |

পৃথিবীতে বরফ যুগের ম্যামোথ থেকে শুরু করে ডাইনোসোর এরা প্রত্যেকেই ধ্বংস হয়েছে . পৃথিবীতে কোনো কিছুই স্থায়ী নয় এমনকি --- আমরাও না .
২০১২ নিয়ে আমরা অনেকেই কমবেশ জানি | অনেকেই জানি সুপার হিট ফীল্ম 2012 এর কথা | কিন্তু এই ফীল্মও ২০১২ এর সতর্ক বাণী স্বরূপই তৈরী করা হয়েছিল যা কিনা পরে মুভী ইন্ড্রাস্ট্রিতে ফীল্ম হিসেবেই প্রকাশ পায় | 2012 এর তৈরির পিছনে মায়ান ক্যালেন্ডার এর ভূমিকা ছিল | মায়ান ক্যালেন্ডারে ২০১২ এর পর আর ২০১৩ আসে নি, তারা আবার , , এভাবে গুনে গিয়েছে | তারা ২০১২ বিশাল ধ্বংসের কথা বলা হয়েছে যাতে কিনা সভ্যতার ধ্বংস হবে এবং নতুন সভ্যতার উত্থান হবে | অনেকেই বলেন ২০১২ তে নাকি পৃথিবী ধ্বংস হবে. এটা একটা ভুল ধারনা | ২০১২ তে যদি কিছু হয় তাহলে বড় রকমের বিপর্যয় হতে পারে (আল্লাহ ভালো জানেন) যার ফলে পৃথিবীর ৯০% মানুষই মারা যাবে . মায়ানরা যেটা দেখেছিল তা ছিল একটি গ্রহ | তারা দেখেছিল এই বিশাল গ্রহটি তাদেরকে আচ্ছাদিত করছে. এর তুমুল গ্র্যাভিটেশনাল ফোর্স এর প্রভাবে সুনামি আঘাত হানার ফলে ওদের সভ্যতা ধ্বংস হল | তাই তারা এই গ্রহটির নাম দিয়েছিল নিবিরু(Nibiru) বা ধ্বংসকারী. খুব ছোট অংকের মাধ্যমে তারা গ্রহের আসা যাওয়ার গণনা করতে পারত | ওরা এতটাই উন্নত ছিল যে ওরা জানত পৃথিবীর কক্ষপথ অনেকটা গোলাকার | তারা আরো জানত পৃথিবীর সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরে আসতে ৩৬৫ দিন লাগে যা আমরা কয়েক শতক আগেও জানতাম না | ওদের মধ্যে যে কেউ ভবিষ্যত গণনা করতে পারত | স্বল্প সংখ্যক যারা বেচেছিল তারাই তাদের ভবিষ্যত গণনা করে বলেছিল এই নিবিরু আবার ২০১২ তে আসবে যার ফলে ভয়াবহ দুরঅবস্থার দেখা দিবে | অনেকে ধারনা করেন এই আদিম মায়ানরাই হল কুরআন বর্নিত নুহ নবীর উম্মত যাদেরকে আল্লাহ মহাপ্লাবন দ্বারা ধ্বংস করেছিলেন | যাই হোক নিয়ে বলতে শুরু করলে সারা দিন লেগে যাবে.
এখন আধুনিক সভ্যতার প্লানেট এক্স আবিষ্কার এবং নাসা আমেরিকা ইউরোপ এর ষড়যন্ত্রের কথা বলব. প্ল্যানেট এক্স (নিবিরু) জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ১৯৮৩ এর গোড়ার দিকে সৌর সিস্টেম এর বাহির এর দিকে আবিষ্কার করে | ১৯৮৩ সালে নাসার ইরাস (IRAS-ইনফ্রা অ্যাস্ট্রোনমিকাল উপগ্রহ) সৌরজগত এর শেষ দিকে বৃহষ্পতি এর মত বড় কিছুর উপস্থিতির কথা বলে | যা ১৯৮৩ এর টাইমস পত্রিকায় উল্লেখ করা হয় |


সর্বপ্রথম ১৯৭২ সালে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জোসেফ ব্র্যাডি আবিষ্কার করেন কোনো অপরিচিত গ্রহ (প্ল্যানেট এক্স) হ্যালির ধুমকেতুর কক্ষপথের মহাকর্ষিক সমস্যার কারণ | জোতির্বিজ্ঞানিদের গাণিতিক হিসাব এটা প্রমান করে যে, এই অপরিচিত গ্রহের ভর পৃথিবীর গুণ বেশি | সম্পর্কে মহাকাশ বিজ্ঞানী যেচারিয়া সিচিন (Zecharia Sitchin) এর একটি বক্তব্য না বললেই নয় ১৯৭৮ সালে তিনি বলেন, “আমাদের সৌরজগতে ৯টি গ্রহ নয় যা সর্বজন কর্তৃক গৃহীত বরং ১০ টি গ্রহ |”

এই বিশাল বস্তর কারণেই যে প্লুটো এর অরবিট পরিবর্তিত হয় এবং প্লুটো তার গ্রহের মর্যাদা হারায় পরবর্তীতে বিজ্ঞানীরা তা কোনো অজানা কারণে আংশিক প্রকাশ করেন | (বর্তমানে প্লুটোকে Kuiper belt এর অংশ বলা হয়) অনেকে একে বাদামী তারা বলেছেন অনেকে বলেছেন ব্যর্থ তারা | অনেকে বলেছেন ধুমকেতু | অনেকে বলেছেন ১০তম গ্রহ অনেকে ১২তম গ্রহ | তবে আশ্চর্যের ব্যাপার হল এর ভর বৃহষ্পতির চেয়েও বেশী | এর অরবিটও অন্য ধরনের | এর এক অরবিট সম্পন্ন হয় প্রায় তিন হাজার ছয়শ বছর | যদি এর আমাদের আরো তিন হাজার ছয়শ বছর আগে নুহ (আঃ) এসে থাকেন তাহলে এর পরের বার পৃথিবী ভ্রমন অতি নিকটেই | আমি আবারো বলছি যে এটি এর আগেও কখনো পৃথিবীর সাথে সংঘর্ষ করে নি এই বার আসলেও করবে না | এর তুমুল গ্র্যাভিটির কারণেই পৃথিবীর নর্থ পোল আর সাউথ পোল ঘুরে যাবে ফলে সুর্য পশ্চিম দিকে উঠবে যা ইসলাম আমাদের ১৪০০ বছর আগেই বলে দিয়েছে | এর ফলে পৃথিবীর ৯০% মানুষ মারা যাবে বলে ধারণা করা হয় (আল্লাহই ভালো জানেন) | নর্থ পোল সাউথ পোল ইতিমধ্যে সরতে শুরু করেছে | ২০০৪ সালে সূর্যে বেশ কয়েকটি সৌরকলঙ্ক(Dark Spot) সৃষ্টি হয় এর ফলে যে সৌরঝড় (Sun Storm) এবং যে পরিমাণ রেডিয়েশন হয়েছিল তা আমাদের ম্যাগনেটিক পোলগুলো সহ্য করতে পারে নি | আর দিন পৃথিবীর সুমাত্রাতে . রিকটার স্কেলের ভয়াবহ ভূমিকম্পসহ ভয়াবহ কয়েকটি ভূমিকম্প হয়েছিল, দিন ইন্দোনেশিয়াতে সুনামি হয়েছিল | থেকে বুঝা যায় সৌরকলঙ্কের সাথে পৃথিবীর ভূমিকম্পের সম্পর্ক রয়েছে | এই রেডিয়েশন আমাদের মাটির অভ্যন্তরের আন্দোলনকে সক্রিয় করে |

আসছে ২০১২ সবচেয়ে বেশি সৌরঝড় এর বছর |

এখন আমি আমেরিকার নাসার এবং ইউরোপ এর ষড়যন্ত্রের কথা বলব |

প্ল্যানেট এক্স আবিষ্কার এর পর নাসা ইসা(ESA- European Space Agency) প্রথমে নিবিরু এর সত্যিকারের ছবি প্রকাশ করলেও তারা এখন ব্যাপারে নিশ্চুপ |
এখন গুগল স্কাই নিবিরু তথা প্ল্যানেট এক্স এর অবস্থান কালো অংশ দিয়ে ঢাকা| যে কেউ দেখলে বুঝবে এখানে কিছু ছিল যা তারা দেখতে দিচ্ছেনা | কেউ কি ভেবে দেখছেন ওরা কী লুকাতে চাচ্ছে ? ওরা এটা ভাবছে যে এটা জানালে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে কিন্তু ওরা না জানিয়ে আরো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে |

এখন আমেরিকা এবং বিভিন্ন এলাকার গোপন বাজেট এর কথা বলি | আমেরিকা তাদের অনেক নিরাপদ জায়গায় আন্ডারগ্রাউন্ড বেস (যার সংখ্যা আনুমানিক ভাবে ১৩২ এর চেয়েও বেশী) বানাচ্ছে | নিরাপদ এই কারণে বললাম কারণ এই সকল এলাকায় ভূমিকম্প বা যেকোনো দূর্যোগ মুক্ত বলে তাদের ধারনা | (কিন্তু এখন এসব এলাকাতেও ভূমিকম্প হতে পারে) যেটি একটি গোপন প্রযেক্ট | এমনকি আমেরিকান মানুষদেরও সেখানে প্রবেশাধিকার নেই | এর নাম হলো ডামবস প্রযেক্ট (D.U.M.Bs.- Deep Underground Military Bases)| এই বেস গুলোতে তারা পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার মজুদ রাখা সহ সেখানে বৈজ্ঞানিক ভাবে মাটির নিচে খাবার উত্পাদন করার ব্যবস্থা করেছে | এটি একটি সম্মিলিত প্রযেক্ট | বিভিন্ন উন্নত দেশ এর সাথে গোপন ভাবে যুক্ত | রাশিয়া-আমেরিকা চিরন্তন শত্রু হওয়া সত্ত্বেও ওরাও এটার সদস্য | সাথে আছে ইউরোপ এর বিভিন্ন দেশ |
ওরাই বলেছেআমরা আসন্ন মহাদূর্যোগ সবাইকে বাঁচাতে পারব না, আমরা শুধু তাদেরকেই বাঁচাব যাদেরকে আমাদের দরকার ” | এমনকি SPT(south pole telescope) এর সব উপাত্ত গোপন রাখা হয়েছে.

এখন আমি পবিত্র আল কুরআন এর গাণিতিক কোড টার্ম ১৪৩৩(২০১২) এর কথা বলব সাথে ইমাম মাহদি আসার কিছু হাদীস বলব |

১৪৩৩ পবিত্র কুরআন এর ম্যাথম্যাটিকাল কোড

পবিত্র কুরআন এর ম্যাথম্যাটিকাল কোডের কথা বলতে হলে আগে আমাদের প্রাইম নাম্বার সম্পর্কে জানতে হবে | সবাই জানেন প্রাইম নাম্বার কি | তাও বলি যে সকল নাম্বার 1 এবং নাম্বার ছারা আর কোনো নাম্বার দিয়ে ভাগ যায় না তাদেরকে প্রাইম নাম্বার বলে | যেমন : ,,,,,১১,১৩,১৭,১৯,২৩... লক্ষ্য করুন এই ডিফারেন্স কিন্তু অনিয়মিত | আবার এক বিশেষ ধরনের প্রাইম নাম্বার আছে যাকে অ্যাডিটিভ প্রাইম নাম্বার বলা হয় | অ্যাডিটিভ প্রাইম নাম্বার সেই সকল বিশেষ প্রাইম নাম্বার যেগুলোর সংখ্যামানের যোগফলও প্রাইম নাম্বার হয় |

একটা উদাহরন দিলে ব্যাপারটা পরিষ্কার হবে যেমন : ১১ একটি অ্যাডিটিভ প্রাইম নাম্বার | (+= | একটি প্রাইম নাম্বার) | আল্লাহ তা আলা কুরআনেও এই সব নাম্বার ব্যবহার করেছেন | পবিত্র কুরআনের শুরুর সূরা ফাতিহাতে টি আয়াত, ২৯ টি শব্দ, ১৩৯ টি বর্ণ আছে যার সবগুলিই অ্যাডিটিভ প্রাইম নাম্বার | এমনকি এগুলোকে বাম দিক থেকে বা ডান দিক থেকে যেকোনো দিক থেকে এদের পাশাপাসি বসালে তাও অ্যাডিটিভ প্রাইম নাম্বার হয় |
|||৭২৯১৩৯ বা ১৩৯২৯৭ ||| +++++=31 |||

পবিত্র কুরআনের অসংখ্য স্থানে অ্যাডিটিভ প্রাইম নাম্বার এর কথা বলা হয়েছে |

এখন আমি ২০১২ তে আসি :

পবিত্র কুরআনের সূরা আর-রহমান ৩১ বার বিভিন্ন আয়াতেফাবিআয়্যি আলা ইরাব্বিকু মা তুকাজ্জিবানবলা হয়েছে | যার অর্থতোমরা (জ্বীন মানব জাতি) তোমার প্রতিপালকের কোন কোন নিয়ামতকে অস্বীকার করবে
১৩, ১৬, ১৮, ২১, ২৩, ২৫, ২৮, ৩০, ৩২, ৩৪, ৩৬, ৩৮, ৪০, ৪২,৪৫, ৪৭, ৪৯, ৫১, ৫৩, ৫৫, ৫৭, ৫৯, ৬১, ৬৩, ৬৫, ৬৭, ৬৯, ৭১, ৭৩, ৭৫, ৭৭

এখন এসকল আয়াতসমূহ যোগ করা হলে যা পাওয়া যায় তা হল 1433 |
১৩+ ১৬ + ১৮ + ২১ + ২৩ + ২৫ + ২৮ + ৩০ + ৩২ + ৩৪ + ৩৬ + ৩৮ + ৪০ + ৪২ + ৪৫ + ৪৭ + ৪৯ + ৫১ + ৫৩ + ৫৫ + ৫৭ +৫৯ + ৬১ + ৬৩ +৬৫ + ৬৭ + ৬৯ + ৭১ + ৭৩ + ৭৫ + ৭৭ = ১৪৩৩

এখন লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন ১৪৩৩ একটি প্রাইম নাম্বার এমনকি এর যোগফলও প্রাইম নাম্বার (+++=১১) |

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল সূরা আর রহমানের শব্দ সংখ্যা ৩৫৫ | এর মাধ্যমে একে বারে আগামী বছর চিহ্নিত হচ্ছে কারণ ১৪৩৩ হল লিপ ইয়ার | আর হিজরী লিপ ইয়ার হয় ৩৫৫ দিন |
আরো আশ্চর্যের বিষয় হল পবিত্র কুরআনের ১৪৩৩ নাম্বার আয়াত বর্ণ গুনে গুনে এমনকি শব্দ গুনে গুনে দেখলেও প্রত্যেক ক্ষেত্রেই আযাব এবং শাস্তির কথা লক্ষ্য করা যায় |
১৪৩৩ তম আয়াত হল পবিত্র কুরআনের সূরা ইউনুস এর ৬৯ নং আয়াত |

সূরা ইউনুস (১০-৬৯)“বলে দাও, যারা এরূপ করে তারা অব্যাহতি পায় না।
আবার বর্ণ গুনে গুনে ১৪৩৩তম হয় সূরা বাকারাঃ(:৮৬)
এরাই পরকালের বিনিময়ে পার্থিব জীবন ক্রয় করেছে। অতএব এদের শাস্তি লঘু হবে না এবং এরা সাহায্যও পাবে না
আবার শব্দ গুনে গুনে ১৪৩৩ তম হয় সূরা বাকারাঃ(:২৪)

আর যদি তা না পার-অবশ্য তা তোমরা কখনও পারবে না, তাহলে সে দোযখের আগুন থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা কর, যার জ্বালানী হবে মানুষ পাথর। যা প্রস্তুত করা হয়েছে অবিশ্বাসীদের জন্য” |
এখন গোলাকার এই পৃথিবীকে ৩৬০˚ দ্রাঘিমাংশ (উল্লম্ব অর্ধবৃত্ত) এবং ১৮০˚ অক্ষাংশে (অনুভূমিক পূর্ণবৃত্ত) ভাগ করা যায় | আবারও সৃষ্টিকর্তা সূরা আর রহমানে ৩১ বার বর্নিত আয়াতের মাধ্যমে এর কথা বলছেন যার পরিসর ˚ থেকে ৯০˚ এর মধ্যে |

১৩˚ ১৬˚ ১৮˚ ২১˚ ২৩˚ ২৫˚ ২৮˚ ৩০˚ ৩২˚ ৩৪˚ ৩৬˚ ৩৮˚ ৪০˚ ৪২˚ ৪৫˚ ৪৭˚ ৪৯˚ ৫১˚ ৫৩˚ ৫৫˚ ৫৭˚ ৫৯˚ ৬১˚ ৬৩˚ ৬৫˚ ৬৭˚ ৬৯˚ ৭১˚ ৭৩˚ ৭৫˚ ৭৭˚ এখন এই বারবার পুনরাবৃত্তি হওয়া আয়াতসমূহ দুই ধরনের অস্তিত্বশীল বস্তুর (মানুষ জ্বিন) কথা বলে তাই এই ল্যাটিটিউড নাম্বারগুলো যদি উত্তরাঞ্চলীয় দক্ষিণাঞ্চলীয় উভয় গোলার্ধের জন্য প্রয়োগ করা হয়, (১৩ নর্থ ১৩ সাউথ এভাবে পৃথিবীর মানচিত্রে বসানো হলে) তাহলে তা পবিত্র ভূমি মক্কা, জেরুজালেম, মদীনা, ছাড়া পৃথিবীর সব ঘনবসতিপূর্ণ প্রায় ৯০০০০ এলাকাকে চিহ্ণিত করে | তবে একটা জিনিস লক্ষ রাখতে হবে তা হল কুরআনুযায়ী পৃথিবীর কেন্দ্র মক্কা যা বিজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত | তাই এক্ষেত্রে আমাদের মক্কাকে কেন্দ্র ধরে হিসাব করতে হবে |

হাদীসে ২০১২ এবং ঈমাম মাহদি সম্পর্কে আসি :

বিষয়ে অনেকেই একমত যে ইমাম মাহদির জম্ম হয়ে গিয়েছে | হাদীসে ঈমাম মাহদি আসার আলামত হিসেবে পৃথিবীর চরম বিপর্যয়, দুর্ভোগ এবং মহাদুর্যোগের কথার উল্লেখ আছে |
সব হাদীস না বলে আমি কয়েকটা হাদীস বলব |

পৃথিবী ততক্ষন পর্যন্ত এর পরিঃশেষ হবে না যতক্ষন পর্যন্ত না আমার পরিবার (বংশ) থেকে একজনের আবির্ভাব হবে এবং সারা পৃথিবীতে ন্যায়ের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে ” |
ইমাম মাহদির আগমনের আরেকটি লক্ষন হলো দুইশিংযুক্ত একটি তারার (আপনি চাইলে একে প্লানেট এক্স বলতে পারেন) আগমন যার লম্বা লেজ থাকবে এবং সারা আকাশকে আলোকিত করবে এর কারণে উপকূলবর্তী স্থানসমূহ ডুবে যাবে |
ঘনঘন ভূমিকম্প হবে |
মহানবী (সঃ) আরো বলেন,
তোমরা ততক্ষন পর্যন্ত ইমাম মাহদিকে দেখতে পাবে না যতক্ষন পর্যন্ত না ১৫ রমজান শুক্রবার পৃথিবীর পূর্ব, পশ্চিম এবং অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলাতে তিনটি ভয়াবহ ভূমিধ্বস হবে যা কোনো চোখ পর্যন্ত দেখে নি” |
তারপর আয়েশা (রঃ) জিজ্ঞেস করলেনযদিও পৃথিবীতে কিছু ভালো মানুষ থাকবে তাও কি ঘটবে?”
মহনবী (সঃ) বললেন, “যখন খারাপের সংখ্যাই বেশি হবে এবং পৃথিবীতে অন্যায় অবিচার বেড়ে যাবে এবং বিশ্বাসী অবিশ্বাসী উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হবে |”
এই ভূমিধ্বস স্থানের সকলকে গিলে ফেলবে |

http://www.islamicfinder.org/dateConversion.php এই সাইটে গিয়ে ১৫ রমজান ১৪৩৩ লিখে দেখুন তাহলে ইংরেজী সণে যে তারিখ পাওয়া যায় তা হল আগস্ট ২০১২ শুক্রবার | আল্লাহই ভালো জানেন কি হবে না হবে তবে আমাদের সতর্ক হওয়া উচিত |

ইমাম মাহদি আসার আরো লক্ষন হলো বিশৃঙ্খলা বিদ্রোহ দেখা দিবে এক জায়গায় বিদ্রোহ হতেই অন্য স্থানে বাতাসের গতিতে তা ছড়িয়ে পড়বে | রমজান মাসে টি গ্রহন হবে যদিও এই লক্ষনটি পূর্ণ হয়ে গিয়েছে হিজরী ১৪০২ সণে |ইরাক-ইরান যুদ্ধ ইমাম মাহদি আসার লক্ষন | দুর্ভিক্ষ দেখা দিবে | সোমালিয়া সহ আরো কয়েকটি দেশে . কোটিরও অধিক মানুষ দুর্ভিক্ষ কবলিত |
জেরুজালেম ইহুদিদের দখলে চলে যাবে, মানুষ মিথ্যা কথাকে সুদ গ্রহনকে সকল ধরনের গানবাজনাকে হালাল বলে মনে করবে, অযোগ্য অসত্ ব্যক্তিরা রাষ্ট্রপ্রধান হবে , দেশে দেশে বিদ্রোহ দেখা দিবে, সত্য বিলুপ্ত হবে, ধর্মপ্রচার করা কঠিন হয়ে যাবে, ধর্মের কথা বললে মানুষ খারাপ বলে মনে করবে, দিন খুব দ্রুত যাবে বলে মনে হবে এগুলি সবই হলো ইমাম মাহদি আসার লক্ষন | এছাড়া আরো অনেক লক্ষন আছে যা বর্তমান যুগের সাথে মিলে | সিরিয়া, ইয়েমেনে যা হচ্ছে তাও ইমাম মাহদির আগমনের আলামত | হাদিসে বলা হয়েছে দাজ্জাল শাসন করবে ৪০ দিন. ১ম দিন বছরের মত, ২য় দিন মাসের মত আর ৩য় দিন সপ্তাহের মত এবং বাকী ৩৭ দিন আমাদের স্বভাবিক দিনের মত. এখন সুরা হজ্জ এর ৪৭ নং আয়াতে বলা হয়েছে- “ তোমার প্রতিপালকের দিন তোমার হাজার বছরের সমান |”

দিন = ১০০০/১বত্সর = ১০০০ বত্সর
দিন = ১০০০/১২মাস = ৮৩.৩৩ বত্সর
দিন = ১০০০/৫২সপ্তাহ = ১৯.২৩ বত্সর

এই হিসাব অনুযায়ী দাজ্জাল (AntiChrist) তার গোপন এবং প্রতারণাপূর্ণ সংগঠন শুরু করেছে তার অনুসারী ইহুদীদের মাধ্যমে বৃটেনে প্রায় ৯০০ থেকে ১৯০০ সাল পর্যন্ত. যা হল ১০০০ বছর. এইরুপে দাজ্জাল তার ১ম দিন শেষ করল. দাজ্জাল এভাবে ২য় দিনে এবং ১৯১৭ সালে অ্যামেরিকার কাছে এই সংগঠনের ক্ষমতা হস্তান্তর করল এবং সকল ধরনের কার্যক্রম চালু রাখল . ২০০১ সালের /১১ পর্যন্ত যা ৮৩.৩৩ বছর. এভাবে দাজ্জাল তার ২য় দিন শেষ করল এবং তার ক্ষমতা ঈসরাইলের কাছে হস্তান্তর করল. সেই অনুযায়ী এখন চলছে দাজ্জালের ৩য় দিন যা শেষ হবে (২০০১+১৯)= ২০২০ সালে. এরপর আসবে সত্যিকার দাজ্জাল শারীরিক ভাবে যা আমাদের ৩৭ দিনের মত. আরেক হাদিসে বলা হয়েছে ইমাম মাহদি শাসন করবেন বত্সর. মহানবী (সঃ) বলেছেন, “বিশাল যুদ্ধ এবং ইস্তাম্বুল জয় এর মধ্যে বছর পূর্ণ হবে এবং দাজ্জাল এর আগমন ঘটবে সপ্তম বছরে.

অপর হাদিসে বলা হয়েছে ইমাম মাহদি শাসনের ৭ম বছরে দাজ্জালের আগমন হবে. সুতরাং ২০২০-=২০১৩. সেই অনুযায়ী ইমাম মাহদির আগমন ২০১৩ ঘটতে পারে. আল্লাহই ভালো জানেন. আর ইমাম মাহদির আগমনের পূর্বে পৃথিবীতে মারাত্নক দুর্যোগ হবে তা ২০১২. আল্লাহই ভালো জানেন.
মহানবী (সঃ) বলেছেন, “সারা পৃথিবী ধোয়া দিয়ে আচ্ছন্ন না হওয়া পর্যন্ত সেই দিন (ইমাম মাহদির আগমনের দিন) আসবে না
ডিসকোভারির অ্যাপোকিলিপ্স আর ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের বেশ কয়েকটি ডকুমেন্ট রয়েছে সম্বন্ধে . তাদের মতে লা পামার (La Palma) এই কুমব্রেভিয়েহা অথবা আমেরিকার ইয়েলোস্টোনের অগ্নুত্পাত হলে সারা আমেরিকা নিশ্চিহ্ন হবে এবং এর ফলে সারা পৃথিবী ধোঁয়ায় ঢেকে যাবে. এমনকি মাসখানেক সূর্যও চোখে পড়বে না.
পাঠক চিন্তা করবেন না আরো কয়েকটা কথা বলে ইনশাল্লাহ শেষ করে ফেলব | ইসা (আঃ) তথা যিশু (Jesus) এর পুনঃআগমন এতে আমাদের প্রত্যেকেরই বিশ্বাস করতে হয় |

শুধু আমি একটাই হাদীস বলব সেটা হলোইসা (আঃ) (Jesus Christ) দাজ্জালকে (AntiChrist) ২টি তীর দিয়ে মারবেন গেইট অব লুত যা ইসরাইল অবস্থিত | আমাদের সমাজে এখন পারমানবিক বোমা থেকে শুরু করে কত ধরনের রাইফেল আছে তা সত্ত্বেও এই শক্তিশালি দাজ্জালকে (এন্টিখ্রিস্ট) কেন ২টি তীর দিয়েই মারা হবে ? থেকে বুঝা যায় আমাদের এই চরম উন্নত সভ্যতা আর থাকবে না, মানবের এই উন্নত সভ্যতার পতন ঘটবে এবং কুব কম সংখ্যকই টিকে থাকবে (আল্লাহই ভালো জানেন) |

এখনই সময় জীবনকে সুন্দর করে তোলার নতুবা এমন এক সময় আসবে যখন চাইলেও আর পারবেন না |

আমি কয়েকটা জিনিস স্পষ্ট করতে চাই

. আমি কিন্তু ১০০ ভাগ নিশ্চিত করে বলতে পারি না আগামী বছরই হবে, সর্বশক্তিমান আল্লাহই ভালো জানেন | নিশ্চই তিনি মহাজ্ঞানী সর্বজ্ঞ |

. আমরা কেউ কখনও কখনও কথা বলতে পারি না যে কেয়ামত অনেক দুরে কারন তা কুরআন বিরোধী | কেয়ামত সম্পর্কিত জ্ঞান আল্লাহর ছাড়া আর কারো নেই | কেয়ামত অনেক দুরে এই কথা বলা উচিত না কারন আল্লাহই কুরআনে উল্লেখ করেছেন যে, “কেয়ামত সন্নিকটে” (সূরা ক্বামার)
আল্লাহর অযাব সম্পর্কে এভাবেই সূরা মুলকের ১৬ থেকে ১৮ আয়াতে বলা হয়েছে-
তোমরা কি নিশ্চিত যে, আকাশে যিনি আছেন তিনি তোমাদেরকে ভূগর্ভে বিলীন করে দেবেন না, অতঃপর তা কাঁপতে থাকবে না
তোমরা কি নিশ্চিন্ত যে, আকাশে যিনি আছেন, তিনি তোমাদের উপর প্রস্তর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন না, অতঃপর তোমরা জানতে পারবে কেমন ছিল আমার সতর্কবাণী
তাদের পূর্ববর্তীরা মিথ্যারোপ করেছিল, অতঃপর কত কঠোর হয়েছিল আমার অস্বীকৃতি

. আর আবারও বলছি কেউ এটা কখনই ১০০% বিশ্বাস করবেন না. বিশ্বাস করবেন না যে এটা আগামি বছরই হবে. হ্যা তবে এটা হবেই ২০১২ তে না হলেও এসব ঘটার সময় সন্নিকটে. আর বারবার বলছি পৃথিবী ধ্বংস হবে না বড় দুর্যোগ হতে পারে (আল্লাহই ভালো জানেন) .

. আর কখনই বলবেন না কেয়ামত অনেক দুরে কারন মহানবী (সাঃ) বলেছেন, “আমার জন্ম আর কেয়ামত হাতের মধ্যমা আর তর্জনি এই দুই আঙ্গুলের ব্যবধানের সমান | ” তাই আমাদের আগে থেকেই সতর্ক হওয়া উচিত নতুবা পরে নিজেই পস্তাবেন |

. মহানবী (সঃ) বলেছেন – “ শেষ যুগে আমার কিছু উম্মত মদ, ব্যভিচার, ঘুষ, সুদ, মিথ্যা কথা বলা এগুলিকে হালাল বলে মনে করবে ” | এখনকার যুগে এর প্রত্যেকটি হচ্ছে |
আর আমরা হলাম সর্বশেষ সর্বশ্রেষ্ঠ নবীর উম্মত মানে আমরা শেষ যুগের মানুষ আমরা এটা কিভাবে ভুলে যাই ???

কেয়ামতের আলামত হল .মানুষ ঘরে বসেই দূরের খবর জানতে পারবে উচু ইমারত নির্মান করা হবে মেয়েরা বেপর্দার সাথে ঘুরে বেড়াবে সন্তান বাবা মায়ের অবাধ্য হবে জিনা ব্যাভিচার বেড়ে যাবে বর্তমানে এগুলো ব্যাপক হারে ঘটে যাচ্ছে সুতরাং কেয়ামত সন্নিকটে তাই আসুন আগে থেকেই সতর্ক হই আল্লাহ রাসুলের (সাঃ) আনুগত্য করি

. আবারও বলছি আমি আপনাকে ভয় দেখাচ্ছি না. এটা জেনে আপনি যদি নিজেকে সংশোধন করেন তাহলেই আমার সাফল্য. আমি এবং আমরা বন্ধু ইমাম মাহদির সাথে ১৪৩৩ তথা ২০১২ এর সম্পর্ক এই নিয়ে রিসার্চ করে নিজেদের পাল্টিয়েছি. এবার আপনার বদলানোর পালা নতুবা পরে অনেক দেরি হয়ে যাবে.


......সংগৃহীত...